এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
মাত্র এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ১২ বছর বয়সি স্বপ্না নামের আরেক শিশুকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবা এলাকায়। রবিবার রাতে পুলিশ ধর্ষক ও হত্যাকারী রেজাউল সর্দারকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার দেয়া তথ্যমতে ক্ষেতের পার্শবর্তী খালে কচুরিপানার ভেতর থেকে স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে রেজউলকে আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে স্বপ্নার বাবা বাবুল ফকির। মামলা নং ১২। আসামীর জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শনিবার সকালে শিশু স্বপ্না কলই শাক তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজা-খুঁজির পর স্বপ্নাকে না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে রেজাউল আত্মগোপনে চলে যায়। এতে স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত রেজাউল এর স্ত্রী, বাবা ও মা কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। 
পরে রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পার্শ্ববতী ইউনিয়ন চরবিশ্বাসের চরআগস্তী এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাবাদে শিশু স্বপ্নাকে প্রথমে ধর্ষণ পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কলই ক্ষেতের পার্শ্বে খালে কচুরি পনার ভেতর ডুবিয়ে রাখে বলে স্বীকার করে রেজাউল। তার স্বীকারোক্তি অনুযোগী হাজার হাজার জনতা ও পুলিশের উপস্থিততে কচুরি পনা থেকে শিশু স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গলাচিপা থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আসামীর জবানবন্দী প্রদানের জন্য তাকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রোজাউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহতের স্বজন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।